শ্বসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জীব কোষে খাদ্য উপাদান ভেঙে শক্তি উৎপাদন করে। শ্বসনের মাধ্যমে যে শক্তি উৎপন্ন হয়, তা কোষের বিভিন্ন কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার হয়। শ্বসনের দুটি প্রধান ধাপ রয়েছে:
- বহির্শ্বসন (External respiration): এটি হলো বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করা এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করার প্রক্রিয়া। এটি ফুসফুসে ঘটে। আমরা শ্বাস নেওয়ার সময় ফুসফুসের এলভিওলাইতে অক্সিজেন প্রবেশ করে, যেখানে এটি রক্তের সাথে মিশে দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়।
- কোষীয় শ্বসন (Cellular respiration): এটি কোষের ভেতরে ঘটে, যেখানে গ্লুকোজ বা অন্যান্য জৈব যৌগ ভেঙে ATP উৎপন্ন হয়। কোষের মাইটোকন্ড্রিয়া এই শ্বসনের প্রধান কেন্দ্র। এটি অক্সিজেনের উপস্থিতিতে গ্লুকোজ ভেঙে শক্তি উৎপন্ন করে এবং বর্জ্য পদার্থ হিসেবে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জল নির্গত হয়।
শ্বসনের ধাপ:
- গ্লাইকোলাইসিস (Glycolysis): গ্লুকোজ ভেঙে পাইরুভেট তৈরি হয়, যা মাইটোকন্ড্রিয়ায় প্রবেশ করে।
- ক্রেবস চক্র (Krebs cycle): পাইরুভেট ভেঙে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও NADH উৎপন্ন হয়।
- ইলেকট্রন পরিবহন চক্র (Electron Transport Chain): NADH-এর মাধ্যমে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয় এবং প্রচুর পরিমাণে ATP উৎপন্ন হয়।
শ্বসনের মাধ্যমে জীব কোষে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন হয়, যা জীবের বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যক।